খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে চলতি বছরের সদ্য সমাপ্ত মে মাসে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় দশমিক ৮৯ শতাংশে। গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। সোমবার (৩ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মে মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমলেও অত্যধিক বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।
গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলগুলোয় উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। শহর এলাকায় মুদ্রাস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং গ্রামীণ অঞ্চলে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
মার্চে শহর এলাকায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।
২০২২-২৩ সালে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল নয় দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর গড় ছয় শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি।